nid card তথ্য সংশোধন ২০২৩

nid card তথ্য সংশোধন

nid card তথ্য সংশোধন

অনলাইনে nid card তথ্য সংশোধন করবেন কিভাবে এবং সংসদ ধরন প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সংশোধন  ফি আবেদন করার নিয়ম বিস্তারিত।

কিভাবে অনলাইনে nid card বা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করবেন কোন ধরনের ভুলের জন্য কি কি প্রমান পত্র দেওয়া লাগবে এবং কিভাবে আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম পূরণ করবেন। আমাদের প্রায় সবারই জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডিতে বিভিন্ন ধরনের ভুল রয়েছে। কার  নামের ভুল কার পিতা-মাতার নামের ভুল জন্ম তারিখ ভুল কার ইংরেজি নাম ভুল ইত্যাদি। কিন্তু সবাই জানে না যে অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র nid card তথ্য সংশোধনের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

ঘরে বসে যথাযথ প্রমাণ সহ অনলাইনে আবেদন করে 15 থেকে 20 দিনের মধ্যে আপনার ভুলগুলো সংশোধন করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয় পত্র তথ্য সংশোধন

জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে জেনে নিন । এনআইডি কার্ড এর সামনের দিকে যে তত্ত্বসমূহ রয়েছে যেমন, নাম, পিতা নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি সংশোধনের ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত। এই তথ্য সংশোধনের জন্য একটি বা একাধিক জন্য সমান ফ্রি দিতে হবে।

nid card নাম সংশোধন

nid card নাম সংশোধনের জন্য সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য পত্র এসএসসি এইচএসসি বা সমমানের সনদ। যদি কারো না থাকে এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত ডকুমেন্টগুলো যেকোনো একটি বা দু’টি সবগুলো সাবমিট করতে পারবেন।

এনআইডি নাম সংশোধনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  •  অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • এসএসসি বা এইচএসসি অথবা সমমানের সনদ
  • ডাইভিং লাইসেন্স
  • পাসপোর্ট / বিবাহ কাবিন নামা
  • এমপিওসিট/সার্ভিস বহি

 পিতা মাতার নাম সংশোধন করার জন্য যা কিছু দরকার

পিতা ও মাতার নাম সংশোধনের জন্য এসএসসি বা এইচএসসি অথবা সমমানের সনদ এবং সেই সাথে পিতা মাতার এনআইডি বা জম্ম নিবন্ধনের  ফটো কপি দাখিল করতে হবে।যেমন,

  1. অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
  2. এসএসসি বা এইচএসসি অথবা সমমানের সনদ
  3. পাসপোর্ট/ ডাইভিং লাইসেন্স
  4. বিবাহ কাবিন নামা

এবং নিচের যে কোন একটি হলে হবে

  • পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র
  • পিতা মাতার জম্ম নিবন্ধন সনদ
  • চাকরীজীদের ক্ষেত্রে অফিস প্রধানের প্রত্যয়ন
  • ভাই- বোনের জাতীয় পরিচয় পত্র
  • পিতার সকল সন্তানদের জম্মের ক্রম  অনুযায়ী নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উলেখ পূর্বক ওয়ারিশ সনদ/প্রত্যয়ন পত্র

এনআইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করতে কি কি লাগে

  1. এসএসসি বা এইচএসসি অথবা সমমানের সনদ
  2. পাসপোর্ট
  3. অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
  4. ডাইভিং লাইসেন্স

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন জটিলতা

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন এ কিছু জটিলতা থাকতে পারে যদি আপনার কাছে প্রয়োজনীয়তা প্রমাণপত্র না থাকে কারণ প্রমাণপত্র  ছাড়া ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা যায় না। তা প্রমান পত্র হিসেবে দেওয়া আপনার ডকুমেন্টগুলো শুদ্ধভাবে আপনার তথ্য থাকতে হবে।

যেমন ধরেন আপনার এন আইডি নাম মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন কিন্তু আপনি চান আপনার শুদ্ধ নাম মোঃ জসিম হোসেন আপনার প্রমাণ হিসেবে দেওয়া কাগজপত্র অবশ্যই মোঃ জসিম হোসেন থাকতে হবে। সঠিক তথ্য ছাড়া আপনার ভুল সংশোধন হবে না।

nid card  তথ্য সংশোধনকরতে কতদিন লাগে

nid card তথ্য সংশোধনের জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র থাকে সর্বোচ্চ পাঁচ দিনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে তবে অনলাইনে উপযুক্ত প্রমাণপত্র সঠিকভাবে আবেদন করার পর 20 থেকে 25 দিনের মধ্যে অনুমোদন করা হয়।

ভোটার আইডি সংশোধন করার নিয়ম

জাতীয় পরিচয় পত্র এনআইডি কার্ডের নিজের বাংলা নাম ইংরেজি নামে যদি প্রকৃতপক্ষে ভুল থাকে তাহলে সংশোধন আবেদন দাখিল করে তা ঠিক করা সম্ভব। জতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন দুই ভাবে করা যায়।

১ম উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম -২ সংগ্রহ করে পূরণ করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি  বিকাশ, নগদ, রকেটের মাধ্যমে জমা দিয়ে রশিদ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরমের পিন-আপ করে জমা দিলে সংশোধনের কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়।

২য় অনলাইনে nid card তথ্য  সংশোধনের আবেদন দাখিল করা যায়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন   ওয়েবসাইট services.nidw.gov.bd ঠিকানায় গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে লগইন করলে ওর বরের ছবি নাম পিতার নাম মাতার নাম জন্মতারিখ যাবতীয় তথ্য দেখা এবং এগুলো ইডিট করার মাধ্যমে আবেদন দাখিল করা যায়।

আপনি চাইলে ঘরে বসে নিজের নিজের মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে এনআইডি কার্ড nid card তথ্য সংশোধনের আবেদন দাখিল করতে পারবেন এক্ষেত্রে অফিসে যাওয়া আসা করা প্রয়োজন হয়না এবং সময় বেঁচে যায় বর্তমান সময়ে অনলাইনে এনআইডি কার্ড ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করায় অনেক সুবিধা।

আরো জানুন: ভোটার হতে কি কি লাগে

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url