কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়

আপনারা যারা মানুষিকভাবে অশান্তিতে আছেন তারা গুগলের চার্জ করে জানতে চাই কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব কোন জায়গায় গেলে মানসিকভাবে শান্তি পাবেন এবং অন্তরে প্রশান্তি লাভ করবেন। সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করছি পুরো বিষয়টি বিস্তারিত পড়লে আপনি কিছুটা মানসিক প্রশান্তি লাভ করবেন। শুরু করা যাক মানসিক শান্তি কিভাবে পাওয়া যেতে পারে এবং কি কি করনীয় তা নিয়ে বিস্তারিত। video

কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়

মানসিক শান্তি কি

সকল চিন্তা ভাবনা তথা চাওয়া-পাওয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারেন তবে সেইখানে উপস্থিত হবে সুখ আর শান্তি আর এই শান্তি যদি আপনার অন্তরের বিরাজ করে তাকে মানসিক শান্তি হবে। এক কথায় মনের প্রশান্তি কে মানসিক শান্তি বলে। একজন মানুষ যখন সকল আকাঙ্ক্ষা পূরণের সুযোগ পায় তখন সে অবশ্য মানসিকভাবে শান্তি অনুভব করে আর এই সুযোগটাই  সে তখনই পায় যখন সে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ এর মাধ্যমে মাধ্যমে তাঁর অনুগ্রহ লাভ করে।

কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়

আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে আল্লাহ তালা কে ভালোবাসেন। তাহলে আপনি আপনার রবের ইবাদাত করেন। কারণ নামাজের মাধ্যমে আপনারা আমার রব মানসিক অশান্তি দূর করে অন্তরে প্রশান্তি দান করবেন। এবং আপনার সকল টেনশন আপনার সকল টেনশন নামাজে দাঁড়ালে দূর হয়ে যাবে। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখলে মানুষের সকল খারাপ চিন্তা তাদের মন থেকে দূর হয়ে যায়। ইসলামের দিক থেকে একমাত্র শান্তির জায়গা হচ্ছে মসজিদ।

আপনি যদি রবকে একনিষ্ঠভাবে ভালবেসে থাকেন তাহলে মসজিদে গেলেেআপনার আলাদা একটি শান্তি অনুভব হবে। নিমিষে আপনার মন থেকে সকল খারাপ চিন্তা টেনশন দূর হয়ে যাবে মানসিক শান্তি পাওয়ার জন্য আপনার নিজেকে নিজের মতো করে থাকতে হবে। আপনি চাইলে আপনার মানসিক শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারবেন।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মেখলা সরকার বলেন নিজেকে আপনি কতটুকু শান্তিতে রাখবেন সেটা পুরোপুরি আপনার উপর নির্ভর করে। আপনি যদি প্রতিদিন প্রতিমুহূর্ত ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবেন তাহলে আপনার জীবনে অনেক সমস্যা সমাধানের উপায়ে আপনি নিজে বের করতে পারবেন।

কেননা এই পৃথিবীতে আমাদের জীবনে অনেক কিছু আছে যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ বাইরে সে অনিয়ন্ত্রিত জিনিসগুলো আমরা কখনো নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব না ।তাই সে সকল বিষয় আফসোস করার প্রয়োজন নেই। আমাদের উচিত সে সকল বিষয় নিয়ে এড়িয়ে চলা। যেসকল নিজের জীবন আমরা গ্রহণ করতে পারবোনা।

কঠিন কাজটা আগে করুন

আমাদের সমাজে প্রচলিত একটি কথা আছে সেটি হল সহজ কাজ দিয়ে দিন শুরু করা উচিত নিজের প্রতি আস্তা বাড়িয়ে তুলতে সাহয্য করে। প্রকৃতপক্ষে কঠিন কাজ দিয়ে দিন শুরু করা উচিত। কারণ আপনে যখন কঠিন কাজটি আগে সম্পন্ন করে ফেলেন তখন আপনার উপর থেকে বিশাল মানসিক চাপ নেমে যায়। তারপর আপনার মেজাজ সারাক্ষণ ফুরফুরে থাকবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে পারেন। তার সাথে আপনার মানসিক শান্তি ভালো থাকবে।

অপ্রাপ্তি জিনিসগুলো গ্রহণ করে নিন

আমাদের জীবনে প্রত্যেকের অনেক চাওয়া-পাওয়া থাকে কিন্তু সকলের সব চাওয়া পূরণ হয় না। আমাদের জীবনে থেকে যায় কিছু অপূর্ণতা। মানসিক শান্তির জন্য এই অপ্রাপ্তি গুলো মেনে নেওয়া শ্রেয়। অর্থাৎ আপনি যদি এই অপ্রাপ্তি গুলো মেনে নেন তাহলে আপনি সন্তুষ্ট থাকতে পারবেন। আপনার মধ্যে যা আছে তার মধ্যে অবশ্যই কিছু না কিছু ভালো আছে। আর এই ভালোটুকু নিয়ে আপনি যদি বাঁচতে পারেন তাহলে আপনার ভিতরে অর্ধেক অশান্তি দূর হয়ে যাবে।

>আরও পড়ুন- খুশকি দূর করার উপায়। চিকিৎসা, ঔষধ-শ্যাম্পু

লোকে কি ভাববে তাদের ভাবতে দিন

আমাদের মানসিক অশান্তির আরেকটি কারণ হচ্ছে আমরা সবসময় ভাবতে থাকি মানুষ কিভাবে ও কি বলবে। এমন অনেক সময় হয় মানুষ আপনাকে নিয়ে কিছু ভাবে না কিন্তু আপনি ভেবে বসে আছেন তারা আপনাকে নিয়ে কি ভাবছে বা বলছে।

একটি সুন্দর গঠনমূলক যোগ্য জীবন পরিচালনা করার জন্য লোকে কি ভাববে এই ভাবনা কে একদম মাথা থেকে দূরে সরিয়ে দিতে হবে। এতে করে আপনার মনের উপর যে আলাদা ছাপ থাকে তা দূর হয়ে যাবে এবং আপনার নিজের প্রতি নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

আপনার সময় বা দিন সব সময় ভালো যাবে না। আর এটি হওয়াটাই স্বাভাবিক আবার দেখা যেতে পারে আপনার জীবনে একের পর এক দুর্যোগ নেমে আছে। ওই সময় আপনি আপনার মনকে স্থির করে এবং মনকে পুরোপুরি শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। এর মধ্যে দুর্যোগের মধ্যে আপনি আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া তিনটি ইতিবাচক দিনের কথা চিন্তা করুন।

কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়

ইতিবাচক দিন গুলোর মধ্যে হতে পারে আপনি এই দুর্যোগের সামলে অন্য কাউকে সাহায্য করছেন। যার বিনিময়ে আপনি কিছু পাওয়ার আশা করেন না। শুধুমাত্র সে লোকের ভালোর জন্য আপনি সে কাজটি করেছেন। অনেক কিছুর পরও আপনি পড়ালেখা ভালো ফলাফল করতে পারছে না সে সময় আপনার ইতিবাচক দিকগুলো সব সময় সাধুবাদ জানান।

নিজের যত্ন নেওয়া

আপনার ভালো চিন্তাধারা আপনার মানসিক শান্তি তখনই আসবে যখন আপনে নিজেকে ঠিক রাখতে পারবেন। আপনে যদি নিজের যত্ন নিজে না করেন তাহলে আপনার কোন কিছুতে মন বসবে না। শরীর এবং মনের সাথে কিন্তু একটি সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের শরীর ভালে থাকলে মন ভালো থাকবে। তাই আশা করি নিজের প্রতি নিজের যত্নবান হবেন এবং শারীরিক মানসিকভাবে সুস্থ থাকার চেষ্টা করবেন।

কোথায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়

আল্লাহর আনুগত্য করা এবং বেশি বেশি ইবাদত করার মাধ্যমে আপনি মানসিক শান্তি পাবেন। অর্থাৎ আল্লাহর ঘর মসজিদে গেলে আপনি মানসিকভাবে শান্তি পাবেন।

মানসিক শান্তি পেতে কি করা উচিত

কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়

মানসিক শান্তি পেতে হলে নিজের উপর নিজের আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। নিজের উপর যত্ন নিতে হবে। কারণ স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল।

>আরও পড়ুন-  হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার

মানসিকভাবে শক্ত হওয়ার উপায়

আমাদের শক্তিশালী মস্তিষ্ক এবং এবং শক্তিশালী দেহের প্রয়োজন আছে। যখন আপনি চিন্তা করছেন কিভাবে মানসিকভাবে শক্ত হওয়া যায়। সম্ভবত তখরই আপনি মস্তিষ্কে চর্চা এবং শরীর চর্চার দিকে নজর দিচ্ছেন না। কথা আছে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।

আপানেকে মানসিকভাবে শক্ত হওয়ার জন্য এর সমাধান আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। কেন আপনি মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। আপনি কি কোন কাজ করতে গেলে নিজেকে খুব অসহায় বোধ করেছিলেন। হতে পারে আপনি যে কোন কাজ করার সময় নার্ভাস বোধ করছেন।

মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার জন্য নিজেকে সবসময় মোটিভেট থাকতে হবে। সেজন্য মোটিভেশনাল স্পিচ শুনতে পারেন। নিজেকে সব সময় পজেটিভ রাখার চেষ্টা করুন। পূর্বে যা গঠে গেছে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বন্ধ করে দিন। সামনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবুন এবং বর্তমানকে নিয়ে বাঁচতে চেষ্টা করুন। মানসিকভাবে শক্ত হওয়ার জন্য এখনই শরীর চর্চা শুরু করুন এতে করে মন শরীর দুটোই সুস্থ থাকবে। মানসিকভাবে শক্ত থাকার তিনটি উপায়ে নিচে দেওয়া হল:

শান্ত থাকা: আপনি যদি কঠিন পরিস্থিতি শান্ত থাকতে পারেন তাহলে এটা খুব বড় একটা গুণ। আর এই গুণটি আপনাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে। যদিও বিষয়টি অতটা সহজ নয় তবে নিজের ভিতর অস্থিরতা কে নিয়ন্ত্রণ করে শান্ত থাকতে পারলে দেখবেন অনেক কঠিন কাজ আপনার জন্য অনুকূলে চলে আসবে।

নেতিবাচক চিন্তা নিয়ন্ত্রণ: আপনার মন আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু আবার আপনার মন আপনার সবচেয়ে বড় বন্ধু। খেয়ে বনের বাঘে খায় না মনের বাঘে খায়। কোন কিছু নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করা মানসিক শক্তিকে দুর্বল করে দেয়।

যদি চিন্তা করতে থাকেন আমার দ্বারা কাজটির সম্ভব হবে না কাজটি করতে পারব কিনা তাহলে আসলে যতটুকু পারবেন সেটাও সম্ভব হবে না তাই নেতিবাচক চিন্তা বা  যে চিন্তাগুলো করলে মন খারাপ হয়ে যায় সেগুলো কে নিয়ন্ত্রণে মধ্যে রাখুন। নৈতিবাচক দূর করতে মনকে ইতিবাচক সাজেস্ট করতে পারেন।

কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়

বাস্তবতাকে মেনে নিন: তবে নিজেকে শক্তিশালী করার একটি অন্যতম উপায় হলো বাস্তবতাকে মেনে নেওয়া। ধরেন আপনি কোন একটা জায়গায় গেলেন সেখানে 5 মিনিট লাগার কথা কিন্তু আপনি জ্যামে পড়ে এক ঘন্টা লেগে গেছে। বা আপনার জরুরী কোন কাজ আছে। তখন ওই মুহূর্তে আপনার হতাশা হচ্ছে বা রাগ হচ্ছে হচ্ছে।

এই সময় আপনি কি করবেন। ওই অবস্থায় আপনি আশেপাশে তাকিয়ে দেখবেন সবাই আপনার মত দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই ভাবে ভাবলে নিজেকে একটু শান্ত রাখতে পারবেন। যখন অবস্থার পরিবর্তন হয় বাস্তবতাকে মেনে নিতে পারলে আপনে মানসিকভাবে আর শক্তিশালী হতে পারবেন।

উপসংহার

মানসিক শান্তি এমন একটা জিনিস যেটা সব সময় স্থায়ী থাকে না।  আপনার ভাল-খারাপ  দিনগুলো সব সময় আসবে। তবে আপনি খুব সচেতন থাকতে হবে এবং শান্ত থাকবে নিজের শান্তি বজায় রাখার জন্য নিজেকে চেষ্টা করতে হবে। যথ সম্ভব নিজেকে সবসময় দুশ্চিন্তামুক্ত রাখা। আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে। আরও নতুন নতুন আপডেট পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

আরও পড়ুন-  হার্টের রোগীর খাবার তালিকা 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url