রোমানিয়া ভিসা আবেদন সম্পূর্ণ পদ্ধতি
রোমানিয়া ভিসা আবেদন
আলোচনা করব রোমানিয়া ভিসা আবেদন করবেন কিভাবে এবং আবেদনের সকল প্রসেসিং রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অনেক নানান টেনসনে থাকে। আজকে আমরা আলোচনা করব রোমানিয়া সাবমিশন থেকে শুরু করে ভিসা পাওয়া পর্যন্ত কিভাবে কি প্রসেস এর মাধ্যমে আপনার ফাইল এর কাজ সম্পন্ন করা হয়। এবং ফাইল তৈরি করতে আপনার কি কি প্রয়োজন হবে।
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য যা কিছু প্রয়োজন
- আপনার একটি বাংলাদেশী ভেলিড পাসপোর্ট লাগবে যার মিনিমাম একবছর মেয়াদ থাকা লাগবে।
- আপনার পুলিশ রিপোর্ট অবশ্যই মেয়াদ থাকা লাগবে। যার মেয়াদ থাকে এক বছর
- আবেদনকারীরা সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর ছবি
- আবেদনকারীর সার্টিফিকেট থাকলে সার্টিফিকেটের ফটোকপি
- এবার আবেদনকারীর একটি CV জমা দিতে হবে
রোমানিয়া ভিসা আবেদন প্রথম ধাপঃ আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো স্ক্যান কপি করে জমা দিলে হবে। তবে কিছু কিছু কোম্পানি পুলিশ রিপোর্ট এর মূল কপি চাই। বেশিরভাগ কোম্পানির স্কিন কফি নিয়ে কাজ সম্পন্ন করে।
আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল রোমানিয়া যাওয়ার পর সেটাকে রোমানীয় ভাষায় ট্রান্সলেশন করা এবং নোটারি করতে হয়। যার জন্য অন্তত 7 থেকে 10 দিন সময় লেগে যায়। তারপর আপনার ফাইল রোমানিয়ায় ইমিগ্রেশনে জমা করা নয় অনেকে ভেবে থাকেন যেদিন ফাইল জমা দিচ্ছেন সেদিন থেকে দিন হিসাব করতে শুরু করে।
রোমানিয়া ভিসা আবেদন দ্বিতীয় ধাপঃ রোমানিয়া ইমিগ্রেশনে সবগুলো ফাইল জমা দেওয়ার পর যত জনের ফাইল করা হয়েছে। সবার জন্য একটা স্লিপ দিয়ে থাকে। আার সে স্লিপে লেখা থাকবে কখন জমা দিয়েছে আর কখন ডেলিভারি দেবে। করে তার প্রবর্তন করেন এবং কত জনের ফাইল একসাথে জমা করানো হয়েছে।
রোমানিয়ার বেশিরভাগ কোম্পানির জমা করানোর ১ মাস মধ্যে ডেলিভারি নিয়ে নেয়। এই একটা নরমাল সিস্টেম ১ মাস সময় লাগে পারমিট ইস্যু হতে। তবে অনেক সময় থেকে ২- 21 দিনে মধ্যে পারমিট ইস্যু করে ডেলিভারি নিয়ে নেয় অনেকে।
রোমানিয়া ভিসা আবেদন তৃতীয় ধাপঃ উত্তোলন করার পর আপনার সহ Contact- Latter সহ সকল ডকুমেন্ট এর Hardcopy আপনার ঠিকানায় কুরিয়ার করা হবে এবং সেগুলো নিয়ে আপনি একটি ছয় মাসের ট্রাভেল ইন্সুরেন্স করে রোমানিয়ান মিনিস্ট্রিতে সবগুলো ফাইলকে স্কেন কপি করে online করে দিন online করার সময় মনে রাখবেন কোম্পানি থেকে একটা সাপোট ডকুমেন্ট বা মেইল যে কোন একটি নিয়ে নিবেন। এতে করে আপনার ভিসা পাওয়া সহজ হয়ে যাবে।
অনলাইন করার পর কয়েকদিনের ভিতরে আপনাকে এম্বাসী থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়ে দিবে। সেটাকে পিন্ট করে দিল্লিতে অবস্থিত রোমানিয়ান এম্বাসিতে তারিখ অনুযায়ী কাউকে অত রাইস করে পাঠান বা নিজে গিয়ে আপনার ফাইল জমা করে দিন। সেখানে গিয়ে আপনি কোন রকম সমস্যায় সম্মুখ হবেন না বা কোন রকম জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না।
এম্বাসি ফাইল জমা দেয়ার পর যদি রিয়েল পারমিট হয় আলহামদুলিল্লাহ একে 4-10 দিনের ভিতরে ভিসা স্টিকার করে দিবে পাসপোর্টে। আপনার মেইলে-মেসেজ আসবে পাসপোর্টে সংগ্রহ করার জন্য। সময়মতো গিয়ে অবশ্যই পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন।
রোমানিয়া এম্বাসিতে কি কি লাগে
- ২ কপি ৫ ফুট সাইস ছবি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই ছবি ক্লিয়ার হতে হবে।
- ট্রাভেল ইন্সুরেন্স ছয় মাসের
- ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ফিলাপ করে দিবে
- ওয়ার্ক পারমিট স্কিন কপি দিলে হবে
- কন্টাক্ট লেটার কফি দিলে হবে
- বুকিং টিকিট কনফার্ম করা লাগবে না
রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশিদের জন্য একটা বড় স্বপ্ন তাই খুব সহজে কারণ রোমানিয়া থেকে অন্য যে কোন ইউরোপের দেশে যাওয়া সহজ। বাংলাদেশ রোমানিয়া কাজের ভিসা পাওয়া শুরু করার পর ইতিমধ্যে সেইখানে অনেক বাংলাদেশি চলে গেছে এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে চাকরির বাজারে নতুন লোক নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া অভিবাসনের প্রার্থীরা রোমানিয়ার দিকে ঝুঁকেছে।
রোমানিয়া যেতে বাংলাদেশীদের জন্য মোট খরচ হতে পারে 8 থেকে 9 লাখ টাকা এটি একটা ধারণা এর কম বা বেশি হতে পারে। কারণ আপনি যার সাথে চুক্তি করেছেন তার সাথে চুক্তির ধরন এবং অন্যান্য খরচের উপর নির্ভর করে সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা জনবল এবং বিমানের টিকিট এবং আপনাকে ইন্ডিয়া যেতে হবে না।
রোমানিয়া দেশ থেকে কোন দেশে যাওয়া যায়
এশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যের যেকোন দেশ থেকে ইউরোপে অদক্ষ শ্রমিকের হার একেবারে কম। তারা সাধারণত উচ্চ দক্ষের বা দক্ষ কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তবে এর মানে এই না তারা একদমই ও অদক্ষ কর্মী নিয়োগ দেয় না। ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, মরক্কো ও গ্রীস অন্যান্য দেশে কৃষি খাত সহ অন্যান্য খাতে শ্রম সংকট মোকাবেলায় দেখা দিয়েছে।
এছাড়া ভারত বাংলাদেশ নেপাল ভুটান পাকিস্তান সহ আফ্রিকান থেকে অনেক দক্ষ ও আধাদক্ষ অদক্ষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে ইউরোপে নিয়ে আসে।
অন্যদিকে সেনজেন দেশগুলোর মধ্যে পোল্যান্ড, মাল্টা এবং পর্তুগাল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইস্যু করেছে। তবে এসব দেশ থেকে ইউরোপের অপেক্ষাকৃত ধনী দেশগুলোর অভিবাসনের ফলে এইসব ভিসা প্রবেশের হার অনেক কম। অন্যদিকে সেনজেন এলাকার বাইরে ইউরোপের দেশে কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীক ভিসা নিয়ে আসছেন।
রোমানিয়াতে সেই দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো রোমানিয়া দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের একটি দেশ। রোমানিয়া দেশ 2006 সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। এখন সেনজেন এলাকায় যোগ দিতে চাচ্ছে। এদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ইতালি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা গিয়ে অভিবাসনের সুযোগ পাই।
রোমানিয়া বেতন কেমন
বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সবচেয়ে ভালো স্থায়ীভাবে থাকার জন্য যেসব বৈধপত্র আছে সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করা অর্থাৎ নিজের যোগ্যতা যোগ্যতা অর্জন করা। রোমানিয়া সর্বনিম্ন বেতন দরা হচ্ছে 500$ ডলার হবে তার মানে এই নয় যে সকলের বেতন 500$ ডলার অথবা প্রত্যেকটা কাজের 500$ ডলারের বেতন । এটার মানে হল সর্বনিম্ন বেতন ধরা হয়েছে 500$ তারপর আপনার কাজের স্কিল কাজের দক্ষতা কাজের ধরন অনুযায়ী আপনার বেতন বাড়বে।
সবচেয়ে বেশি ইনকাম হোটেল বা রেস্টুরেন্টের কাজে। কারন হোটেল রেস্টুরেন্টে চাকরি করলে মাসিক সেলারি থেকে থেকে বেশি আয় করা যায় টিপস থেকে। সেখানে যারা চাকরি করে তাদের মাসিক ইনকাম 900$ থেকে 1200$ ডলার পর্যন্ত যদিও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তারপরেও চলে মোটামুটি। কাজের স্কিল অনুযায়ী বেতন হয়। 500$ থেকে শুরু করে এক হাজার 1300$ পর্যন্ত ইনকাম হয়।
রোমানিয়া ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগবে?
রোমানিয়া জব ভিসা পেতে সর্বসাকুল্যে তিন মাস থেকে চার মাস লাগতে পারে। অনেক সময় আরো বেশি লাগতে পারে।
রোমানিয়া ভিসা পেতে টাকা আগে দিবেন নাকি পরে?
রোমানিয়া ভিসা পেতে দুই রকম সিস্টেম আছে টাকা লেনদেনে একটা হলো আপনি যখন যেখানে যে পরিমাণ টাকা লাগবে সে পরিমান টাকা পেমেন্ট করা। কন্টাক বেসিস এ পদ্ধতিতে আপনি ভিসা হাতে পাওয়ার পর একেবারে সবগুলা টাকা ফেলবে পেমেন্ট করা এক্ষেত্রে একটু খরচ বেশি পরে। কিভাবে করাবেন সেটা আপনার মাধ্যমে করাবেন সেটা আপনার বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে।
রোমানিয়া ভিসা অনলাইনে চেক করা যাবে?
হ্যাঁ অবশ্যই আপনে রোমানিয়ার ভিসা অনলাইন ছেক করা যাবে আপনি চাইলে আপনার ওয়ার্ক পার্মিট রোমানিয়া সরকারের নির্ধারিত এই ROMANIAN COMPANIES ওয়েবসাইটে গিয়ে পারমিট চেক করে নিতে পারবেন ।
read also: