বিকাশ পিন লক খোলার উপায় জেনে নিন

বিকাশ পিন লক খোলার উপায়
বিকাশ পিন লক খোলার উপায়

এই পোষ্টে আমরা আপনাদেরকে জানাবো বিকাশের পিন  ভুলে গেলে বা লক হয়ে গেলে আপনার করণীয় কি বিকাশ পিন লক হয়ে গেলে কি করতে হবে।  বিকাশ পিন লক খোলার উপায় কি এবং কিভাবে আপনার ভুলে যাওয়া বিকাশ পিন নাম্বার রিসেট করবেন। আমাদের বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ হচ্ছে বিকাশ তাই বিকাশ ইউজারদের সিকিউরিটি  নিশ্চিত করার জন্য তিনবার ভুল পিন টাই করলে বিকাশ পিন লক হয়ে যায়। অথবা আপনি আপনার বিকাশ পিন নাম্বার ভুলে গেছেন তাহলে আপনার করণীয় কি চলুন জেনে নিই।

বিকাশ পিন লক হয় কেন

বিকাশ পিন লক হয়ে যাওয়ার সবচেয়ে প্রধান কারন হচ্ছে বিকাশের পিন নাম্বার ভুল প্রদান করা। আপনি যদি বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করতে গিয়ে অথবা কোন ট্রানজেকশন করতে গিয়ে পরপর বিকাশের পিন নাম্বার ভুল প্রধান করলে আপনার একাউন্ট অটোমেটিক ব্লক করে দেওয়া হয় বা পিন লক করে দেওয়া হয়।

সেজন্য আপনি না জেনে বিকাশের পিন নাম্বার দিতে যাবেন না। পিন নাম্বার ভুল হলে বারবার একটি পিন নাম্বার দিয়ে চেষ্টা করবেন না। আপনি মনে করে সঠিক পিন নাম্বার প্রধান করার চেষ্টা করবেন।

বিকাশের পিন লক হয়ে গেলে করণীয়

এখন আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন লক হয়ে যাবে বা ব্লক হয়ে গেছে। তখন আপনি কি করবেন এবং কিভাবে পুনরায় বিকাশ পিন পরিবর্তন করে নতুন পিন সেট করবেন।  এই নিয়ে আজকে আমাদের পোস্ট তাই দেরি না করে করে চলুন কিভাবে বিকাশের পিন লক হয়ে গেলে বা ভুলে গেলে নতুন পিন কিভাবে সেট করবেন চলুন জেনে নিই।

বিকাশ পিন পরিবর্তন করার নিয়ম

আপনি নিজে ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট পিন পরিবর্তন করতে পারবেন কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে নিচে বিকাশের পিন পরিবর্তন করার নিয়ম জানতে পারবেন তাছাড়া পুনরায় নতুন পিন সেট করার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

নিচের তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করে ঘরে বসে নিজে নিজের বিকাশ পিন নাম্বার আনলক অথবা পরিবর্তন করতে পারবেন তাছাড়া আপনি চাইলে সরাসরি  বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যম বিকাশ ব্লক হয়ে যাওয়া পিন পরিবর্তন করতে পারবেন।

  • যেকোনো মোবাইলে ফোনে ডায়াল অপশনে গিয়ে বিকাশ পিন রিসেট করা যায়।
  • লাইভ চ্যাট করার মাধ্যমে বিকাশ পিন পরিবর্তন করা যায়।
  • সরাসরি কাস্টমার কেয়ার সাথে ফোন করার মাধ্যম বিকাশ পিন রিসেট করতে পারবেন।

ভুলে যাওয়া বিকাশ পিন পরিবর্তন করার নিয়ম

আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন কোড ভুলে গেলে বা কোন কারণে বিকাশ পিন লক হয়ে গেলে যেই ভাবে পিন পরিবর্তন করবেন বা পুনরায় নতুন পিন কোড সেট করবেন আপনার ভুলে যাওয়া বিকাশ পিন পরিবর্তন করার জন্য না আপনাকে কিছু তথ্য বা  ডুকমেন্ট  আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখতে হবে। আপনার আপনার বিকাশ নতুন পিন সেট করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট বা তথ্য প্রয়োজন হবে নিচে বিস্তারিত দেওয়া হল:

  • যে ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়েছে সেই এনআইডি কার্ডের নাম্বার
  • বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের সাথে সরাসরি কথা বললে বিকাশ পিন নাম্বার রিসেট করার ক্ষেত্রে যার আইডি কার্ড দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়েছে সে ব্যক্তিকে উপস্থিত থাকতে হবে। কাস্টমার কেয়ার তার অনুমতি চাইবে।
  • বিকাশ একাউন্ট থেকে মোবাইল রিচার্জ ক্যাশ আউট সেন্ড মানি পে-বিল এদের মধ্যে যেকোনো একটি ট্রানজেকশন এর অ্যামাউন্ট জানা থাকতে হবে। এবং আপনার বিকাশ একাউন্টে টাকার পরিমান জানা থাকতে হবে।

বিকাশে যেসব ধরনের পিন দেওয়া যাবে না?

  • পিন নম্বরটি অবশ্যই 5 ডিজিটের হতে হবে
  • বিকাশ পিন নম্বরে কখনই লেখা বা অক্ষর দেওয়া যাবে ন
  • বিকাশের পিন নম্বর শূন্য দিয়ে শুরু করেতে পারবেন না
  • 12345 এর মত কোন ক্রম দেওয়া যাবে না,
  • সব নম্বর একই দেওয়া যাবে না যেমন ১১১১১,৩৩৩৩৩
  • নিশি বিকাশ অ্যাকাউন্টের শেষ 5 সংখ্যা  দেওয়া যাবে না
  • আগে ব্যবহার করা কোনো পিন আবার ব্যবহার করা যাবে না

বিকাশ পিন লক খোলার উপায় *২৪৭# ডায়াল

ধাপঃ ১ বিকাশ অ্যাকাউন্ট পিন রিসেট করতে, আপনার মোবাইল ফোনের ডায়াল প্যাডে যান এবং ডায়াল করুন *247# কোড ডায়াল করতে হবে। ডায়াল করার পর আপনাকে 9 number reset pin ডায়াল করার পর আপনার বিকাশ একাউন্ট যে আইডি কার্ড দিয়ে খোলা হয়েছে সে আইডি কার্ডের নাম্বার টি লিখতে হবে।

বিকাশ পিন লক খোলার উপায়


ধাপঃ ২ ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার লিখে সেন্ড করার পর আর একটি অপশন আসবে সেটিতে সেটিতে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম সাল দেওয়া থাকবে। সেই বক্স শুধুমাত্র চার ডিজিটের জন্মসাল বসাতে হবে।

ধাপঃ ৩ জন্মসাল বসানোর পর আপনার বিকাশ একাউন্টে লাস্ট 90 দিনের মধ্যে যেকোনো ট্রানজেকশন অথবা আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে সেন্ড মানি, পে-বিল, ক্যাশ আউট মোবাইল রিচার্জ  যেকোনো একটি সিলেক্ট করতে হবে।

আপনি যে অপশনটি সিলেক্ট করেছেন সে অনুযায়ী লেনদেন হয়েছে  একটি লেনদেনের টাকার পরিমাণ লিখতে হবে।

ধাপঃ ৪ আপনার যাবতীয় তথ্য গুলো যদি সঠিক হয় তাহলে বিকাশ থেকে আপনাকে মেসেজ এর মাধ্যমে ৫ ডিজিটের একটি পিন নাম্বার সাবমিট করা হবে। সেটা পরবর্তী ধাপে কাজ আসবে।

ধাপঃ ৫  বিকাশ পিন রিসেট করার উপরের ধাপগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করা হলে আপনার নাম্বারে টেম্পোরারি পিন পাঠানো হয়েছে এবং নিচে দেওয়া নিয়ম অনুসারে পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করার মাধ্যম বিকাশের পিন পরিবর্তন এবং পিন লক হলে তা পুনরায় সেট করতে পারবেন।

বিকাশ পিন লক খোলার উপায়

ধাপঃ ৬ আপনাকে পুনরায় আবার মোবাইলের ডাইল এগিয়ে অপশনে গিয়ে *২৪৭# ডায়ল করে মাই বিকাশ সিলেক্ট করে সেন্ড দিতে হবে। Enter old pin এর জায়গা আপাকে যে ৫ ডিজিটের নাম্বার সেন্ট করছে তা বসাতে হবে তারপর সেন্ড বাটনে ক্লিক করতে হবে।

পরবর্তীতে নতুন নতুন পিন এর স্তলে আপনার পছন্দ অনুযায়ী সর্তগুলো মেনে ৫ ডিজিটের একটি পিন নাম্বার বসাতে হবে বসানোর পর আপনার পিন সেট হয়ে যাবে। আর এটা হবে আপনার বিকাশ পিন নাম্বার এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে।

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে অনেকে জানতে চাই তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানাবো কিভাবে আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করবেন বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করে ফেলা প্রয়োজন হয়। তো চলুন কিভাবে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে হবে। আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কাস্টমার কেয়ারের নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করেতে হবে ।

কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে ফোন দিয়ে কথা বলার পর আপনাকে জানাতে হবে আপনি আপনার বিকাশ নাম্বারটি বন্ধ করতে চান বলার পর  কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি আপনার কাছে কেন বন্ধ করতে চান তার কারণ জানতে চাইবে যথাযতা কারণ দেখিয়ে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করার রিকোয়েস্ট করে দিলে 24 থেকে 48 ঘন্টার মধ্যে আপনার  অ্যাকাউন্টটি অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে।

পাসপোর্ট দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনাদের মধ্যে অনেকে জানতে চাই পাসপোর্ট  দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা যায় কিনা কারণ যারা অনেকদিন ধরে বিদেশে আছে এখন দেশে এসে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাই। তখন তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র না তাকার কারণে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারে না আমরা জানি জাতীয় পরিচয় পত্র কিছুটা সময় সাপেক্ষ জিনিস।

প্রকৃতপক্ষে বিকাশ কোম্পানি এখন পর্যন্ত পাসপোর্ট দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম বা সুযোগ রাখেনি। তবে ভবিষ্যতে হয়ত বা পাসপোর্ট দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিতে পারে। যদি সুযোগ দেয় তাহলে আমরা আপনাদের কে জানাব কিভাবে পাসপোর্ট দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলবেন।

বিকাশ দিয়ে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নিয়ম

বিকাশের মাধ্যমে বর্তমানে প্রায় সব ধরনের বিদ্যুৎ বিল পেমেন্ট করা যায় নেসকো, ডেসকো, বিডিডিবি, ডিপিডিসি, পিডিপি, প্রিপেইড, পোস্টপেইড ও ওয়েস্টজোন বিল পরিশোধ করতে পারবেন।

সাধারনত দুই ধরনের বিদ্যুৎ বিল হয়ে থাকে ১ প্রিপেইড ২ পোষ্টপেইড এখন আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার মিটার কি প্রিপেইড না কি পোষ্টপেইড চলুন জেনে নিই।

প্রিপেইডঃ যদি আপনার মিটারে বিদ্যুৎ বিল শুরুতে মিটারে ব্যালেন্স রিচার্জ করতে হয় শুরুতে মিটারে ব্যালেন্স রিচার্জ করতে হয় এবং ব্যালেন্স চেক করা যায় তাহলে বুঝবেন এটা প্রিপেইড মিটার।

পোষ্টপেইডঃ যদি মাসিক বিদ্যুৎ ব্যবহার করার পর আপনার কাছে মাসিক বিদ্যুৎ বিল পাঠানো হয় তাহলে আপনি বুঝবেন আপনে পোষ্টপেইড মিটার ব্যবহারকারি।

বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ DPDC (Postpaid)

আপনার বিকাশ অ্যাপ টি ওপেন করে পিন নম্বর দিয়ে লগইন করার পর বিকাশ থেকে অপশনটি ট্যাপ করুন এরপর বিদ্যুৎ DPDC (Postpaid) সিলেক্ট করতে হবে।

বিলের সময়সীমা সিলেক্ট করে এখন অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন

বিলের পরিমান দেখে আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নাম্বার দিয়ে পে-বিল সম্পন্ন করুন।

এবং ডিজিটাল অ্যাপ থেকে দেখে নিন বিলের ডিজিটাল রিসিট।

প্রিপেইড মিটার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ

প্রিপেইড মিটার বিদ্যুৎ বিল পেমেন্ট করার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই এসএমএস এর মাধ্যমে আপনি একটি টোকের নাম্বার পেয়ে যাবেন। আর যদি আপনার এসএমএস এর মাধ্যমে টোকেন নাম্বার না পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার মোবাইলে মেসেজ অপশনে গিয়ে মিটার নম্বর লিখে মেসেজ করুন ০৪৪৪৫৬১৬২৪৭ নাম্বারে। ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে আপনি আপনার মিটারের টোকেন নাম্বার পেয়ে যাবেন।

ওই টোকন নাম্বারে আপনার বিদ্যুতের মিটারে ক্লিক করে প্রবেশ করালে বিদ্যুৎ বিল পুরোপুরিভাবে সম্পূর্ণ হবে আপনার মিটার আপডেট হবে।

আরো পড়ুনঃ Star cineplex show time: স্টার সিনেপ্লেক্স শো টাইম

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url