মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক ঔষধ / mota howar upay
আমাদের আশেপাশে কিছু মানুষ দেখবেন তাদের প্রচুর পরিমাণ খেতে দেখবেন কিন্তু তাদের মোটা হওয়া কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। এখন কথা হলো ওদের খাবার যায় কোথায়। অনেক সময় তাদের অজান্তে তারা এমন কিছু করে যা ওজন নিয়ন্ত্রনে সহায়ক। এর পিছনে কিছু রহস্য কাজ করে তা জানার জন্য আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন এবং কিভাবে আপনি নিজেকে আরও সুস্বাস্থ্যবান করে তুলবেন। আপনারা অনেকেই মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক ঔষধ কি জানতে চাচ্ছেন। তাই আমরা নিয়ে এসেছি আপনি আরো কিভাবে সুস্বাস্থের অধিকারী হবেন। ওজন নিয়ন্ত্রণ করা পুরাপুরি আমাদের হাতে নেই। এটা হরমোন জেনেটিক্সের এসবের ভূমিকা আছে। তবে এক কথায় মোটা হওয়ার সহজ উপায় হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা।
মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক ঔষধ
কিছু মানুষ আছে অনেক রোগা পাতলা তাদের মাথা সবসময় এটা চিন্তা আসে যে কিভাবে উন্নতি করা যায় এর কারণে তারা সমাজে বিভিন্ন লোকজনদের সাথে মিষ্টি অনেকটা লজ্জাবোধ করে। তাদের শারীরিক গঠনের কারণে। এই নিয়ে তারা অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব বোধ করে। তাই সে ভাই-বোনদেরকে বলবো আর নয় হতাশা বা দুশ্চিন্তা
আপনাদের হতাশা দুচিন্তা দূর করে শারীরিক গঠন আরও উন্নত করতে আমাদের কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সলিউশন আছে। যা অনুসরণ করলে দুই থেকে তিন মাসের ভিতরে আপনার অনেকটা পরিবর্তন দেখা দিবে।
কাজেই যে সকল ছেলে মেয়ে মোটা হতে যান এবং তাদের উদ্দেশে একটি কথাটি বলতে চাই। কথাটি হলো আপনারা অনেকে শরীর গঠন রোধ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকি। আমরা শরীরের গঠন মোটাতাজা করার জন্য মার্কেট থেকে বিভিন্ন ওষুধ কিনতে পাওয়া যায়। দয়া করে আপনি ঐ সমস্ত ওষুধ গুলা থেকে বিরত থাকুন। এর কারণ হচ্ছে এসব ওষুধ গুলো আপনার সাময়িকভাবে কিছু পরিবর্তন আনতে পারবে। কিন্তু এর ফলে কার্যকারিতা শেষ হয়ে গেলে আপনি যেমন ছিলেন ঠিক তেমন হয়ে যাবেন।
কিন্তু তার মাঝে একটি কথা রয়ে যায় আপনি এইসব ওষুধগুলো সেবন করলে সেগুলো একজনের সাইডএফেক্ট আপনার শরীরে পড়েন। সেই সাইডএফেক্ট এর কারণে আপনার লিভার অনেক ক্ষতিগ্রস্ত কিডনি এর প্রভাব পড়বে । তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো আপনারা এই সমস্ত ওষুধ সেবন করবেন না।
ওজন কম হওয়ার কারণ কি? mota howar upay
প্যানিক ডিজঅর্ডার এবং পারকিনসন ডিজিজ এই ধরনের মানসিক রোগের কারণে শরীর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে। মানসিক রোগের কারণে মুখে রুচি কমে যায়। খাওয়ার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলে এইসবের ফলে শরীর স্বাস্থ্য আরো অবনতি হয়।
- শরীরের ওজন কম হওয়া হালকা পাতলা হওয়ার কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করা। তাছাড়া শারীরিক সমস্যার কারণে ওজন কম বা রোগা স্বাস্থ্য হতে পারে।
- অনিয়মিত খাদ্যভাস পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবারের ক্যালোরি তৈরি করতে না পারা। রোগা স্বাস্থ্য বা ওজন কম হওয়া এ একটি সাধারণ কারণ।
- তাছাড়া দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, বমি, কলেরা এবং আমাশয় এর কারণে শরীরে পুষ্টি শোষণ ক্ষমতা কমে যায়। তার কারনে শরীর রোগা হালকা পাতলা হয়ে যায়।
- ফু্ জ্বর-ঠান্ডা বিভিন্ন রোগের কারণে ক্ষুধা কমে যায় শরীরে শক্তির চাহিদা বেড়ে যায় এমন অবস্থায় শরীরের পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয় শরীর বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্ত হয়।
read also:
মাথার চুল ঘন করার উপায় জেনে নিন
রোমানিয়া ভিসা আবেদন সম্পূর্ণ পদ্ধতি
স্থায়ী ভাবে মোটা হওয়ার ঔষধ
প্রাকৃতিক উপায়ে মোটা হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনে যা যা করবেন প্রতিদিন খুব সকালে আপনি ঘুম থেকে উঠবেন কারণ সকালে বাতাস অনেক ধরনের ভিটামিন থাকে যা মানুষের শরীরের জন্য খুবই কার্যকরী। কারণ সকালে ঘুম থেকে উঠলে অনেকটা রোগ মুক্ত থাকা যায়।
কারণ সকালের বাতাসে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন থাকে। এর ফলে আপনি রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তাছাড়া বেশি বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাবেন। যাতে করে প্রতিদিন আমরা হাঁটাচলা বিভিন্ন কাজের যে ক্যালোরি ব্যয় করি এবং কিছু ক্যালরি সঞ্চয় করে রাখতে পারি।
মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক ঔষধ |
মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা
১) ভাতের সাথে বেশি করে মশারির ডাল খেতে হবে। এবং বিভিন্ন রকম শাক সবজি সপ্তাহে তিন দিন খিচুড়ি খাবেন খিচুড়ি নরম হতে হবে। রুটি খাওয়া যাবেনা। গরুর কলিজা বা মুরগির কলিজা ভুনা খাবেন। অন্তত প্রতিদিন 100 গ্রাম বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করবেন। এর কারণ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাট আপনি মোটা হওয়ার জন্য ভূমিকা রাখবে। গরুর মাংসের সাথে চর্বি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
২) প্রতিদিন ঘুম যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধ পান করবেন কারণ দুধ এমন একটা খাবার যার সাথে রয়েছে সকল ধরনের ভিটামিন মিনারেল। যা আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী এবং প্রতিদিন ভোরে সকালে ঘুম থেকে উঠে অন্তত এক কিলোমিটার রাস্তা দৌড়ানো আস্তে আস্তে হাঁটার অভ্যাস করবেন। যার ফলে আপনার শরীরে রক্ত চালিকা শক্তি বৃদ্ধি পাবে এর ফলে শরীর সর্বস্তরে ভিটামিন পৌঁছে যাবে। পুকুরে কিংবা নদীতে গোসল করলে সাঁতার কাটার চেষ্টা করবেন।
৩) আপনি যদি দুটো মোটা হতে চান তার জন্য কিছু কার্যকারী উপায় আছে সেগুলো হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা। দিনে প্রতিদিন তিন ঘন্টা ঘুম পাড়া। রাতের দশটার পরে বিছানায় শুয়ে পড়া। আপনি যদি সঠিক টাইমে ঘুম যেতে না পারলে আপনার শরীরে কোন পুষ্টিকর খাবার কার্যকর হবে না। তাই নিজেকে ফিট রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন প্রতিদিন নির্দিষ্ট টাইমে খাবার গ্রহণ করা। তাহলে আপনি যে খাবারটা খাবেন সেটা এটি শরীরের জন্য উপকারী হবে।
৪) কখনো টেনশন বা দুশ্চিন্তায় ভুগবেন না সকালে নিয়মিত ব্যায়াম করা। কারণ ব্যায়াম করলে আপনার শরীর মন দুটোই ভাল থাকবে এবং ক্ষুধা লাগলে আরো বেশি পরিমাণ খেতে পারবেন আর বেশি বেশি খেলে অবশ্যই আপনার শরীর দ্রুত মোটাতাজা হয়ে উঠবে।
৫) আপনি যদি সব ড্রিংস বা ফ্যাটযুক্ত এই জাতীয় খাবার বেশি বেশি খান তাহলে আপনার শরীরে উন্নতি হবে খুব শীঘ্রই। কারণ এই সকল খাবারে প্রচুর পরিমাণ ইনসুলিন থাকে ইনসুলিন হরমোন তৈরি করে যা কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন কমাতে সহযোগিতা করে।
৬) আপনি প্রচুর পরিমাণ এনার্জি ফুড খেতে পারেন । এগুলো খেলে আপনার শরীর আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং আপনি শারীরিকভাবে আরো সবল ও সুস্বাস্থের অধিকারী হবেন।
আরোও জানুনঃ
- আমি কিভাবে মোটা হবো’: শীর্ণকায় হওয়ার বিড়ম্বনা এড়াতে স্বাস্থ্যবান হতে চাইছেন?
- মোটা হওয়ার সহজ উপায় – ওজন বাড়ানোর উপায়
Dhruba Tech News