ন্যাচারাল ভাবে মোটা হওয়ার ঔষধের নাম জেনে নিন। 2 Good Health
মানুষ বেশি চিকন হলেও প্রবলেম আবার বেশি মোটা হলেও প্রবলেম কিন্তু মোটা হলে যতটা না প্রবলেম তার চেয়ে বেশি প্রবলেম হচ্ছে যে চিকন হলে। এমনটাই মনে করেন মানুষ আর এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার যাদের শরীর চিকন পাতলা তারা একটু মোটা হওয়ার জন্য কতইনা পন্থা অবলম্বন করে। আর সেই জন্য খুঁজে বেড়ায় মোটা হওয়ার ঔষধের নাম। যাদের মোটা হওয়ার জন্য কার্যকারী ওষুধের তালিকা প্রয়োজন । মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক ঔষধ, মোটা হওয়ার হারবাল ওষুধ, মোটা হওয়ার হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এবং মোটা হওয়ার জন্য ভিটামিন ক্যাপসুল এবং শিরাপ এসব বিষয় নিয়ে অনেকে জানতে চাই তারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণভাবে পড়ে নিবেন।
মোটা হওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ
আমরা অনেক সময়ই সঠিক ধারণা না থাকার কারণে একজনের দেখাদেখি অন্যজনে বিভিন্ন মোটা হওয়া ওষুধ সেবন করে ফেলে। এইসব ওষুধ খাওয়ার ফলে শরীরের কোন উপকার তো হয় না বরং পরবর্তীতে আমাদের শরীরে আরো বিপদজনক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আজ আমি আপনাদেরকে জানাবো সবচেয়ে কার্যকারী মোটা হওয়ার ওষুধ আপনাদের মধ্যে যারা স্বাস্থ্যগতভাবে রোগা-পাতলা এবং মোটা হওয়ার জন্য স্বপ্ন দেখছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের পুরা আর্টিকেল এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে দ্রত মোটা হওয়ার জন্য রুচি প্লাস সিরাপসহ আরো কিছু ক্যাপসুল সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো।
আরোও জানুন: মোটা হওয়ার ঔষধের নাম | মোটা হওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী ঔষধ
মোটা হওয়ার ওষুধের নাম
আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি মোটাতাজা হতে চান তাহলে যে তিনটি ওষুধ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে সে তিনটি হলো সিনকারা, পিউটন সিরাপ ও রুচিবেট।
সিনকারা সিরাপ: সিনকারা সিরাপ আপনাকে আরো দ্রুতগতিতে মোটাতাজা হতে সাহায্য করে। সিনকারা সিরাপ সেবনের ফলে খাদ্য চাহিদা এবং ক্ষুধার পরিমাণ বেড়ে যায়। বলে প্রতিদিন শরীরে যে পরিমাণ শক্তি ব্যয় হয় তার চেয়ে বেশি শক্তি প্রতিদিন উৎপাদন হয়। সিনকারা ওষুধ ইউনানী পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়। তাই এই ওষুধ সেবনের ফলে কোন পার্শপ্রতিক্রিয়ার ভয় পাওয়া কোন কারণ নেই। আর যারা খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য উপযুক্ত ঔষধ হচ্ছে সেনকারা সিরাপ।
পিউটন সিরাপ: পিউটন সিরাপ এর মাধ্যমে আপনি খুব অল্পসময়ের অনেকটা মোটা স্বাস্থবান হতে পারবেন। তাই আপনি যদি দুটো রোগা পাতলা শরীর থেকে আরো মোটা হতে চান এবং শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণভাবে ফিট হতে চান তাহলে এই পিউটন ওষুধটি সেবন করে দেখতে পারেন। এই সিরাপের মূল্য 360 টাকা অথবা আপনার আশেপাশে থাকা ফার্মেসিতে দাম কম বা বেশি হতে পারে। পিউটন ওষুধটি আপনার নিকটবর্তী যে কোন ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন।
রুচিবেট: আমাদের মধ্যে অনেকে আছে মুখে একদম রুচি নেই খাবারের প্রতি অনাগ্রহী এবং কোন কিছু খেতে ইচ্ছে করে না তাদের জন্য এই রুচিবেট ওষুধ সেবনের ফলে দ্রুতগতিতে মোটা হতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করবে। এই ওষুধটি আপনার মুখের রুচি বাড়াতে সাহায্য করবে। খাওয়া-দাওয়া না করে আসলে মোটা হতে চাওয়াটা বোকামি।
আর এর জন্য আপনার ডাক্তার কাছে যান বা হারবাল ওষুধ যে কোন কিছু সেবন করেন না । মোটা হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বেশি পরিমাণ খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিবে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে। আর এই রুচিবেট ওষুধ টি আপনাকে খাদ্যাভাস পরিবর্তন আনতে সক্ষম করবে। এজন্য আপনি মোটা হওয়া হতে চাইলে ওষুধ সেবন করতে পারেন।
আরোও জানুন: কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার করার সম্পূর্ণ উপায়
মোটা হওয়ার ওষুধ সম্পর্কে সর্তকতা অবলম্বন
মোটা হওয়ার ঔষধের নাম জানলে হবে না শুধু প্রত্যেকটা ওষুধের কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। তাই শুধুমাত্র আপনার ব্যক্তিগত মতামতের উপর ভিত্তি করে ওষুধ সেবন করবেন না। এইসব ওষুধ সেবন করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আর আমাদের পোষ্টের উপর ভিত্তি করে আপনি গ্রহণ করবেন না। এর জন্য আমরা দায়ী থাকব না। আসল কথা হচ্ছে আপনি মোটা হতে চাইলে অবশ্যই ভিটামিন ক্যালরিযুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে হবে।
কিছু ডাক্তার আপনাকে আপনাকে 7 দিনে মোটা হওয়ার গ্যারান্টি দিবে এই ধরনের ওষুধ সেবন করবেন না। আর যদি রোগের কারণে আপনার শরীর রোগা পাতলা হয়ে থাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন এবং একজন পুষ্টিবিদদের সাথে পরামর্শ করবেন।
আরোও জানুন: মোটা হওয়ার ঔষধের নাম এবং প্রাকৃতিক ঔষধ
মোটা হওয়ার সবচেয়ে ভালো ঔষধ
আমরা জানি আমাদের শরীরের প্রত্যেকটা কাজের জন্য এক বা একাধিক হরমোন দায়ী থাকে তাই মোটা বা চিকন হওয়া এটিএকটি হরমোন জনিত সমস্যা। মোটা হওয়া একটি জিনগত ব্যাপার আছে এখন পর্যন্ত মোটা হওয়ার জন্য কোন ওষুধ আবিষ্কার করতে পারেনি তবে স্বাস্থ্য ফিট রাখার জন্য এবং মুখে রুচি আনার জণ্য হালকা পাতলা শরীর ফিট করতে চিকিৎসকেরা খুঁজে বাহির করছেন কিছু কার্যকরী সমাধান।
দায়িত্বই ইনসেপ্টা ড্রাগ, হামদর্দ স্কয়ার, ইন্টার্নেশনাল ইত্যাদি সকল নামিদামি ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানিগুলো ভালো মানের মাল্টিভিটামিন ও মাল্টি মিনারেল ট্যাবলেট সিরাপ ক্যাপসুল বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন প্রস্তুত করে থাকে। আর সেগুলো সেবনের ফলে একজন চিকন মানুষ কিছুটা মোটা হতে সক্ষম হয়।
মোটা হওয়ার ঔষধের নাম |
মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক ঔষধ
শুধুমাত্র মোটা হওয়ার ঔষধের নাম জেনে খেয়ে নিলে হবে না । মোটা হতে হলে নিয়মিত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং যতটুকু না পরিশ্রম করেন তার চেয়ে বেশি খাবার খেতে চেষ্টা করুন। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন। কখনো ডাইট করবেন না। তার সাথে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। খাবারের তালিকায় অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন মাছ, গোশত, ডিম, শাকসবজি, কলা ও দুধ খাওয়ার চেষ্টা করবেন। চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন কারণ চর্বিজাতীয় খাবার খেলে মোটা হবে ঠিক কিন্তুু পরবর্তী শরীরে জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর।
মোটা হওয়ার হোমিও ঔষধ
মোটা হওয়া হোমিও ওষুধের অনেক মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আলফামালট। আলফামালট সেবন করার পূর্বে অবশ্যই হোমিও ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিবেন। যেকোনো হোমিও দোকানে এই ওষুধ কিনতে পাবেন। অবশ্যই দেখেশুনে নিবেন। মোটা হওয়ার জন্য হোমিও ওষুধ নিরাপত্তা ভাবাটা অনেকটা বোকামি কারণ প্রত্যেকটা ওষুধে কিছু না কিছু সাইডএফেক্ট বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। ওষুধ খাওয়ার নিয়ম দাম কত সবকিছু আপনি যেখান থেকে কিনবেন ওই ডাক্তারে বলে দিবে।
মোটা হওয়ার ভিটামিন ই ক্যাপসুল
ভিটামিন ক্যাপসুল সেবন করার ফলে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত শক্তি সঞ্চারিত হয়। যার ফলে আমরা আস্তে মোটাতাজা হতে শুরু করি। আপনি যদি অধিক চিকন হয়ে থাকেন তাহলে একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ করে নিন তিনি আপনাকে মোটা হওয়ার ভিটামিন ঔষধ সম্পর্কে সাজেস্ট করবে। আপনি যেকোন অভিজ্ঞ ফার্মেসিতে মোটা হওয়ার ওষুধ সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
মোটা হওয়ার ট্যাবলেট
আপনাদেরকে মোটা হওয়ার ট্যাবলেট সম্পর্কে ধারণা দিতে হলে অবশ্যই সর্বপ্রথম মোটা হওয়ার ট্যাবলেট বলতে হবে Good Health এর কথা সবচেয়ে কার্যকরী একটি ট্যাবলেট।
Good Health মূলত ইন্ডিয়ান তৈরিকৃত একটি কোম্পানির মোটা হওয়ার ট্যাবলেট বা ওষুধ অবশ্যই আপনাকে এটি সেবন করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এই ঔষধটি আপনার নিকটবর্তী ফার্মেসিতে হয়তবা কসমেটিকের দোকানে পেয়ে যাবেন।
নিজের আদর্শ ওজন সম্পর্কে সম্পর্কে জানুন
মোটা হওয়ার ঔষধের নাম জানার আগে আপনাকে সবার আগে নিজের উচ্চতা অনুযায়ী আদর্শ ওজন কত সেটি জানতে হবে। এটি জানতে হলে বডি মাস ইনডেক্স বিএমআই এর আদর্শ ওজন নির্ণয় একটি গাণিতিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন। আরেকটি সহজ পদ্ধতি হচ্ছে যেমন আপনার উচ্চতা যত সেন্টিমিটার তার থেকে 100 বিয়োগ করলে আপনি পাবেন কিলোগ্রাম আপনার কাম্য ওজন। যেমন ধরুন আপনার উচ্চতা যদি 166 সেন্টিমিটার হয় তাহলে কাম্য ওজন হবে 166 থেকে 100 বিয়োগ দিলে যে সংখ্যাটিকে কেজিতে আসবে তার ওজন 66 কেজি ।
আবার এই ওজন থেকে মেয়েদের জন্য 15 শতাংশ এবং ছেলেদের জন্য 10 শতাংশ বাদ দিলে পাবেন আপনার আদর্শ ওজন ।
আরোও জানুন: মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক ঔষধ