রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে জেনে নিন

রসুন খাওয়ার উপকারিতা
রসুন খাওয়ার উপকারিতা

রসুন খাওয়ার উপকারিতা

অনেকের জন্য, সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়া খুব অস্বাস্থ্যকর মনে হতে পারে। কিন্তু খালি পেটে রসুন খাওয়া শরীরের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর।

খালি পেটে রসুন খাওয়ার কিছু উপকারিতা রয়েছে যা রান্না করা খাবারের সাথে খেলে তা হয় না। এটি শুধু বিভিন্ন রোগ নিরাময় করে না, বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। চলুন রসুন খাওয়ার উপকারিতা কি কি জেনে নিই।

 ক্রিমি হলে:- এক চামচ রসুনের রসের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে তিন দিন সকালে খালি  পেটে খেলে রসালো ভাব তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

ব্রনের সমস্যা দূর করে: রসুনের মধ্যে অনেক গুণ আছে। যা বর্ণের  সমস্যায় অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করে। যদি আপনার+ শরীরে আঁচিল হয়ে থাকে। আঁচিলের ক্ষেত্রে রসুনের রস অনেক উপকারে আসে।

সর্দি কাশি :- হঠাৎ ঠান্ডা বা বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা হলে রসুনের সিরাপ খুবই উপকারী। দিনে 3 বার 2 চামচ করে খেতে হবে। 10 বছরের নিচে শিশুদের এই রসুন সিরাপ খাওয়ানো উচিত নয়।

বাতের ব্যথা:- বাতগ্রস্ত রোগীকে রসুন 2 কোয়া বেটে ঘি এর সঙ্গে খেতে দিতে হবে। কোন ব্যাথা থাকবে না।

রক্ত পরিষ্কার হয়: মাছের সঙ্গে ও কাঁচা দুধের সঙ্গে রসুন খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। তিনটি রসুনের কোয়া পানি ছাড়া সিলে বেটে নিতে হবে। এরপর পাতিলে লেবুর রস মিশিয়ে ট্যাবলেট এর মতো তৈরি করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। আর সেই ট্যাবলেট প্রতিদিন একটি করে খেলে শরীরে পুষ্টি হজম শক্তি কাজ করে।

শুক্ততারল্য: ব্যাথায় হালকা গরম দুধের সঙ্গে 1 বা 2 কোয়া রসুন বেটে মিশিয়ে খেলে রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। রসুনের বাটা খেলে ক্ষয়রোগ বন্ধ হয়। এবং শুক্ততারল্য আর থাকে না।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: আপনি যদি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে প্রতিদিন সকাল বেলা খাবার খেয়ে এক কোয়া রসুন গিলে ফেলুন। চিবিয়ে খাবেন না শুধু গিলে ফেলবেন যার ফলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় স্বাস্থ্যগত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

হাঁপানি রোগ: যাদের হাঁপানি রোগের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয় ওই রোগীকে 5 থেকে 7 ফোটা রসুনের রস এক কাপ ঠান্ডা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে রোগের উপকার হবে।

ক্ষয়রোগ রসুনের ক্ষীর এই  ক্ষয় রোগের প্রধান ওষুধ। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা রসুনের ক্ষীর  খাওয়ার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। প্রাপ্তবয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন 5 গ্রাম করে রসুনের ক্ষীর খাওয়াতে হয়। যক্ষা রোগীদের জন্য রসুনের ক্ষীর মহাশক্তিশালী ওষুধ।

যৌবন স্থায়ী করে  পরুষ বা নারীর যৌবন স্থায়ী রাখতে চাহলে তাহলে এক চামচ অথবা দুই চামচ আমলকির রস নিয়ে তার সাথে এক বা দুই কোয়া রসুন বাটা মিশিয়ে খেলে যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হবে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: অসংখ্য মানুষ আছে যারা উচ্চ রক্তচাপ ভোগে রসুন খাওয়ার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপ উপসর্গ কিছুটা ভালো হয়। রসুন খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভাল পরিবর্তন দেখা যায়।

ঠান্ডা ও জ্বরে: যেসব মানুষ প্রায় ঠান্ডা জ্বর পড়ে থাকে এমন ব্যক্তিদের জন্য রসুন একটি  মহোঔষধন হতে পারে। শরীর থেকে জ্বর ঠান্ডা দূর করতে প্রতিদিন 2 থেকে 3 কোয়া রসুন খেতে পারেন এছাড়া চায়ের সাথে অথবা রান্না করা রসুন খেতে পারেন। আর যদি রসুনের গন্ধ খারাপ লাগে তার সাথে আদা ও মধু মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

রসুনের অপকারিতা

রসুনের যেমন উপকারী দিক আছে তেমনি অপকারী দিক ও আছে। চলুন জেনে নিই রসুনের অপকারিতা কি কি:

  • অতিরিক্ত রসুন খেলে যকৃতের ক্ষতি হতে পারে।
  • খালি পেটে রসুন খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।
  • বমি হতে পারে।
  • অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার কারণে আইরিশ ও কর্নিয়ার মাঝে  রক্তক্ষরণ হতে পারে। যার ফলে হারাতে পারে দৃষ্টিশক্তি।
  • রসুন খেলে মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে। এর কারণে রসুনে থাকে সালফার।
  • খালি পেটে তাজা রসুন খেলে বুক জ্বালাপোড়া বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • অতিরিক্ত রসুন খেলে রক্তচাপ অনেক কমে যায়।
  • রক্তচাপ কমে গেলে মাথা ঘোরাতে পারবো নিম্ন  রক্তচাপ জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারেন।
  • রসুন খেলে গর্ভবতী নারীদের প্রসব যন্ত্রণা বেড়ে যায়। তাই গর্ভবতী নারীদের কাঁচা রসুন খাওয়া উচিত নয়।
  • শিশুদের বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মায়েদের রসুন খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ রসুন দুধের স্বাদ পাল্টে দেয়।
  • দাম বাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে রসুন সেবন করলে গাম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

  পুদিনা পাতার উপকারিতা কি কি চলুন জেনে নিই

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url