টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়। পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং ওষুধ
নারী উভয়ের জন্য টেস্টরেন হরমোন অতি গুরুত্বপূর্ণ আজকে আমরা জানবো টেস্টোস্টেরন হরমোন কি এর স্বাভাবিক মাত্রা টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় ও টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি করার জন্য খাবারের তালিকা ইত্যাদি এসব বিষয় নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি। তাই সম্পূর্ণ বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।
টেস্টোস্টেরন হরমোন কি
পুরুষের প্রাথমিক যৌন হরমোন এবং অ্যানাবলিক স্টেরয়েড। এটি পুরুষের প্রজনন টিস্যু যেমন টেস্টিটের প্রেস্টেটের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পেশি ও হাড়ের ভর বৃদ্ধি এবং শরীরের চুল বৃদ্ধি করার মতো গৌণ বৈশিষ্ট্যগুলির উন্নত করে এই হরমোন। এছাড়া মহিলা ও পুরুষের উভয়ের ক্ষেত্রে মেজাজ, আচার-আচরণ এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করার সাথে টেস্টোস্টেরন হরমোন জড়িত।
পুরুষের অন্ডকোষ প্রাথমিক টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরি করে থাকে। এবং মহিলাদের ডিম্বাশয় এই হরমোন তৈরি করে তবে খুব অল্প পরিমাণে। বয়সন্ধিকালে উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়। 30 বছর বা তার অধিক বয়সের পরে কমতে শুরু করে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন যৌনা কাঙ্ক্ষা সাথে সংযুক্ত থাকে এবং শুক্রাণু উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পুরুষদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত টেস্টোস্টেরন হরমোন না থাকলে দুর্বলতা, হাড় ক্ষয় এবং আরো অন্যান্য অস্বাভাবিক সমস্যার সৃষ্টি করে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন এর কাজ কি
টেস্টোস্টেরন হরমোন পুরুষ এবং মহিলার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরে বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে। চলুন জেনে নিই টেস্টোস্টেরন হরমোন আমাদের শরীরে কি কাজ গুলি করে থাকে।
- লিঙ্গ বা অন্ডকোষের বিকাশ ঘটায়।
- যৌন চাহিদা বৃদ্ধিতে আকাঙ্খা রাখে।
- পেশীর আকার এবং শক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
- শুক্রাণু উৎপাদন করতে সাহায্য করে।
- হাড় বৃদ্ধি এবং শক্ত করতে সহায়তা করে।
- বয়সন্ধিকাল থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন অংশের চুল গজানো এবং পরবর্তীতে জীবনের মাথায় টাক পড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়
টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রধানত হলো পুরুষের সেক্স হরমোন। পুরুষের অন্ডকোষ মহিলাদের ডিম্বাশয় এটি তৈরি হয়। স্বাভাবিক মাত্রার টেস্টোস্টেরন হরমোন সাধারণ স্বাস্থ্য, শরীরের গঠন, রোগের ঝুঁকি ও যৌন ক্রিয়াকলাপ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের জন্য অপরিসীম ভূমিকা রাখে। স্বাভাবিক উপায়ে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রঅ বৃদ্ধি করার উপায় জেনে নিন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা কারণ সব ধরনের ব্যায়াম আপনার টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই ক্ষেত্রে ভারউত্তোলন বা হাই-ইনটেনসিটি ইন্তেরভাল ট্রেনিং এর মত ব্যায়াম গুলো বেশি কার্যকর।
- স্বাভাবিক ভাবে জীবনযাপন করার চেষ্টা করুন খুব বেশি স্টেস নিবেন না। কারণ এটি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ঝুঁকি তেমনি টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে।
- নিয়মিত ভাবে পর্যাপ্ত ঘুম টেস্টোস্টেরন হরমোন পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। পরিমিত পরিমাণ স্বাস্থ্যকর টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা আপনার অজান্তে বাড়িয়ে দিবে।
- জিংকের টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধিতে অত্যান্ত জোরালো প্রমাণ আছে একসঙ্গে জিংক এবং ভিটামিন-ডি অন্তত কার্যকর ভাবেই এই হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
- অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না, ঠিক একইভাবে খুব সীমিত খাওয়া বা কম খাওয়া যাবে না। কারণ এত বড় সীমিত খাবার গ্রহণ করলে ক্যালরির ঘাটতি দেখা দেবে। আপনার জন্য আরও ক্ষতিকর হতে পারে। একটি সুষম খাদ্যের তালিকা অনুসরণ করে সেখানে পরিমিত পরিমাণ শতকরা, চর্বি, প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখবেন।
- ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। যাদের যাদের রক্তে ভিটামিন ডি কম থাকে বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের রক্তে ভিটামিন ডি কম থাকে। সকালের রোদ ডেকেছে সে ক্ষেত্রে ভালো উপকারী। অথবা আপনি সাপ্লিমেন্টে আকারে ভিটামিন-ডি খেতে পারিন।
- অ্যালকোহল বা বিভিন্ন রাসায়নিক দব্য এবং উৎকর্ষতা সংস্পর্শ যতটা এড়িয়ে চলতে পারেন। এটি ন্যাচারালি আপনার টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা এবং স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
- কিছু ভেষজ প্রাকৃতিক উদ্ভিদ যেমন অশ্বগন্ধা প্রাকৃতিক ভাবে এটি টেস্ট হরমোন মাত্রা বাড়াতে সক্ষম হয়। একটি গবেষণায় দেখা যায় বন্ধ্যা পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রচুর প্রভাব বিস্তার করে। এক গবেষণায় দেখা যায় এটিকে স্টোর হরমোনের মাত্রা 17 শতাংশ এবং শুক্রাণুর সংখ্যা 167 শতাংশ বৃদ্ধি করার প্রমাণ পাওয়া যায়।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করার খাবার
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির জন্য কিছু খাবার খেতে পারেন। এই খাবারগুলো আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে খাবারের তালিকা নিচে সম্পূর্ণ দেওয়া হল:
- টক ফল
- পালং শাক
- আঙ্গুর
- ডিম
- ডালিম
- টক ফল
- রসুন
- মধু
- কাঠবাদাম
- মাংস
- বাধা কপি
- পালক শাক
- বাঁধাকপি
- কলা
আরও পড়ুন- কিডনি ভালো রাখার উপায়
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঔষধ
যেকোনো রোগের চিকিৎসার জন্য একজন দক্ষ ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা রোগীর বয়স অন্যান্য রোগ ইত্যাদি বিষয়ের উপর বৃত্তি করে ওষধ প্রদান করে থাকে। সেজন্য অবশ্যই যে কোন ওষুধ সেবনের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অনেকে আগ্রাহের কথা চিন্তা করে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত সাধারণ কিছু ওষুধের নাম দেওয়া হল।
প্রাথমিক ডোজ: ১২০- ১৬০ মিলিগ্রাম টেস্টোস্টেরন আন্ডার সাইকেলেনেট এস্টার প্রতিদিন।
অবিরত ডোজ: ৪০- ১২০ মিলিগ্রাম টেস্টোস্টেরন আন্ডার সাইকেলেনেট এস্টার প্রতিদিন।
ডি – অ্যাসপর্টিক এসিড একটি প্রাকতিক অ্যাসিড যা কম স্তর কে বাড়িয়ে তোলে
ভিটামিন ডি একটি চর্বিযুক্ত দ্রবণীয় যা সূর্যের আলোতে প্রকাশিত হলে ত্বকে উৎপাদিত হয়।
মেথি, আদা, ডিএইচইএ, দস্তা এবং অশ্বগন্দা।
টেস্টোস্টেরন হরমোন ইনজেকশন
টেস্টোস্টেরন হরমোন এর বেশ কয়েকটি ইনজেকশন পরম পাওয়া যায় মার্কেটে। কিন্তু কতগুলো ইঞ্জেকশন একেবারে পেশির গভীরে দেওয়া হয়। শরীরের গঠনের উপর নির্ভর করে একটি ইনজেকশন এক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস স্থায়ী ভাবে দেওয়া হয়। এরপর স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারীকে অবশ্যই নতুন শীট পালন করতে হয়।
টেস্টোস্টেরন হরমোন এর স্বাভাবিক মাত্রা
রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক বা স্বাস্থ্যকর মাত্রা টেস্টোস্টেরন থাইরয়েড ফাংশন, প্রোটিনের অবস্থা এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে ব্যাপক ভাবে পরিবর্তন হতে পারে। আমেরিকা ইউরোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাম্প্রতিক নির্দেশনা অনুযায়ী একজন পুরুষের জন্য প্রতি ডেসিলিটারে কমপক্ষে 300 ন্যানোগ্রাম টেস্টোস্টেরন হরমোনের এর মাত্রা থাকা স্বাভাবিক। 19 বা তার চেয়ে অধিক বয়সের মহিলাদের টেস্টোস্টেরন হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা প্রতিবেশী ডেসিলিটারে 8 থেকে 60 ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।
সাধারণত বয়োসন্ধিকালে অর্থাৎ যৌবনকালে প্রথমদিকে 18 থেকে 19 বছর বয়সী টেস্টোস্টেরন হরমোন এর মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। পুরুষদের ক্ষেত্রে 30 বছর বয়সের পর প্রতিবছর 1% হারে কমতে থাকে। প্রিমেনোপজাল মহিলাদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোন প্রধানত ডিম্বাশয়ের তৈরি হয়। পরে মেনোপজের পরে এই মাত্রা হ্রাস পায়। যা সাধারণত থেকে 45 – 55 বছর বয়সের মধ্যে শুরু হয়। [টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়]
ছেলেদের ক্ষেত্রে ভূমিকা
টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতি অনেক বেশি দেখা দিলে সাধারণত কিশোর বয়সের ছেলেরা নিজেদেরকে পুরুষ অনুভব করতে পারে না। মুখে দাঁড়ি ও শরীরের চুল কম গজাতে পারে। এবং কণ্ঠস্বর স্বাভাবিকভাবে গভীর না হতে পারে। এবং পুরুষাঙ্গ-বড় না হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া এটি আপনার স্বাভাবিক মেজাজ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
>আরও পড়ুন- গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
মেয়েদের ক্ষেত্রে ভূমিকা
মেয়েদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোন এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। স্বাভাবিক ক্রিয়া সম্পাদনের জন্য টেস্টোস্টেরন ইস্ট্রোজেন এর মধ্যে সঠিক ভারসাম্য থাকা দরকার হয়। এছাড়া মেয়েদের স্বাভাবিক আচরণ সহ যৌন আচরণ হাড়ের শক্তি মস্তিষ্কের ফাংশন আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ এই টেস্টোস্টেরন হরমোন এর ভূমিকা রয়েছে। [টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়]
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার কারণ
সাধারণত ৩০ বছর বয়সের পরে পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা প্রতিবছর ১% হারে কমতে শুরু করে ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সে প্রায় ৪০% এই কম মাত্রায় প্রবাহিত করে। তবে এ পর্যায়ে এসে এর মাত্রা নির্ধারণ করা খানিকটা কঠিন। কারণ প্রতিক্ষনে এর মাত্রা বিভিন্ন কারণে যেমন পুষ্টির অভাব অ্যালকোহল গ্রহণ, ওষুধ সেবন, বয়স এবং অসুস্থতার কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে স্বাভাবিক ক্ষেত্রে এটি কমে যাওয়ার কমে যাওয়ার কিছু কারণ রয়েছে।
- অন্ডকোষের আঘাত বা রক্ত সরবরাহ বিঘ্নিতা বা সংক্রমণ
- ক্যান্সারের জন্য কেমোথেরাপি
- শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ আইরন হয়ে যাওয়া
- টাইপ ২ ডায়বেটিস
- পিটুইটারি গ্রন্থির টিউমার বা কর্মহীনতা
- তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা
- অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করা
- জন্মগত সমস্যা
- যকৃতের পচন রোগ,
- অতিরিক্ত ওজন বা চরম ওজন হ্রাস পাওয়া
- দীর্ঘস্থায়ী কিডনি সমস্যা
- এইচআইভি বা এইডস
- প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হরমোন এবং স্টেরয়েড সহ অন্যান্য ওষুধ
- মাথায় আঘাত
- গুরুতর হাইপোথাইরয়েডিজম ইত্যাদি
উপরে উল্লেখিত কারণগুলোর জন্য টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্বাভাবিক মাথার টেস্টোস্টেরন জরুলি কেন
শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়া পুরুষদের স্থুলতা রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে এবং অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এস্ট্রেজেন ও প্রোজেস্টেরনের মত অন্যান্য হরমোন এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রাও মহিলাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিয়মিত সুুষশ খাদ্য তালিকা স্বাভাবিক জীবনযাপন এবং নিয়মিত শরীরচর্চা মাধ্যমে টেস্টোস্টেরন হরমোন এর মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়।
আরও পড়ুন- কিচমিচ এর উপকারিতা ও গুনাগুন বিস্তারিত
যেসব খাবার হরমোন এর মাত্রা কমায়
কিছু খাবার স্বাভাবিকভাবে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। তাই যাদের টেষ্টোরন হরমোনের ঘাটতি জনিত সমস্যা আছে বা ঘাটতি সম্ভাবনা রয়েছে তাদের নিচে দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
- আখির রোট এবং বাদাম এসএইচবি এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এটি এমন একটি প্রোটিন টেস্টোস্টেরন হরমোনের সাথে বাইন্ড করার মাধ্যমে এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। এছাড়া বাদামে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি তাই অতিরিক্ত বাদাম খাওয়ার টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা নির্ম পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পারে।
- অ্যালকোহল গ্রহণ পুরুষদেরকে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা হ্রাস পেতে পারে তবে বিভিন্ন গবেষণায়র বিরুদ্ধেপূর্ণ ফলাফল দেখা যায়।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার গুলোতে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। এক গবেষণায় দেখা যায় এটি প্রাণীর দেহে টেস্টোস্টেরন মাত্রা কমায় এবং প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে।
- স্পারমিন বা পেপার্মিন্ট সমৃদ্ধ খাবার গুলোতে টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।
- বেশিরভাগ উদ্ভিজ্জ তেলে পলিউনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি তাকে কিছু গবেষণায় দেখা যায় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা হ্রাসের সাথে সংযুক্ত।
- ফ্লেক্সসিড বা তিসি বীজে প্রচুর পরিমান লিগনাল এবং ও মেগা- ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে আর এই দুইটা উপাদান টেস্টোস্টেরন মাত্রা কমিয়ে দেয়।
- সয়া এবং সয়া বেজ্ড খাবারগুলো পৃষ্ঠটানের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে এটি প্রাণী এবং মানুষের উপর গবেষণায় প্রমাণিত হবে উন্নত গবেষণা এখনো চলছে।
>আরও পড়ুন- টেস্টোস্টেরন হরমোন কম হওয়ার লক্ষণ
উচ্চ টেস্টোস্টেরনের লক্ষণ
পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ খুব বেশি হলে এটি অসাধারণ কোন সমস্যা নয়। শরীরে হরমোনের মাত্রা অনেক বেড়ে গেলে এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে তা নিচে দেওয়া হল:
- অন্তকোষ সংকুচিত হওয়া এবং পুরুষত্বহীনতা দেখা দিতে পারে ।
- শুক্রাণু সংখ্যা কমে যেতে পারে
- হার্টের পেশির ক্ষতি হয় ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- ক্ষুধা বৃদ্ধি পাওয়া বা ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
- পা ফোলা বা পায়ে পানি জমতে পারে।
- যকৃতের রোগ হতে পারে
- প্রেস্টেট বৃদ্ধি পায় এবং প্রস্রাবের অসুবিধা দেখা দেয়
- ব্রণ হতে পারে
- উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
- অনিদ্রা ও মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে
- রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি থাকে।
- কিশোর ও কিশোরীদের বৃদ্ধিতে অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে
কম টেস্টোস্টেরনের লক্ষণ
পুরুষদের টেস্টোস্টেরনের হরমোন কমে যাওয়ার কিছু লক্ষণ নিচে দেওয়া হল
- শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যায়
- ঘুমের ধরন পরিবর্তন হয়
- চুল পড়া বেড়ে যায়
- বিষন্নতা
- হ্রাস পাতলা পেশী ভর
- লো সেক্স ডাইভ
- ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (ইডি)
- উত্তেজনাপুর্ণতা এবং উত্তেজনা ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া
টেস্টোস্টেরন হরমোন পরীক্ষা
উপসংহার
টেস্টোস্টেরন হরমোন পুরুষদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর ভূমিকা অনেক বেশি। সাধারণত শরীরের অধিক টেস্টোস্টেরন হরমোনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। যদি আপনি কম টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে থাকেন তাহলে যে খাবারগুলো হরমোনের মাত্রা কমায় সেগুলো এড়িয়ে চলবেন এবং প্রাকৃতিক ভাবে এর মাত্রা বাড়ানোর প্রক্রিয়া গুলো অনুসরন করুন । এতে করে আপনার দৈনন্দিন জীবন সুস্বাস্থ্যময় হয়ে উঠবে আপনার জীবনে সুখ সমৃদ্ধ বয়ে আনবে।
>আরও পড়ুন- হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে সে খাবার গুলার তালিকা জানুন